শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: বরগুনার তালতলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেরিবাঁধের ওপর অবৈধ ১৪৭ দোকান প্রশাসন গুড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট।
শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) বিকালে পুনর্বাসনের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এ সময় গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ পথচারী ও যাত্রীরা।
বিকেল থেকে ওই এলাকায় খেয়া চলাচল বন্ধ ও সড়ক অবরোধ করে রাখায় দুর্ভোগে পরেছে হাজার হাজার মানুষ। পুর্নবাসন না দেওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা গেছে, ছোটবগী বাজারের পশ্চিম দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেরিবাঁধের উপরে একটি চক্র প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা কয়েক দফায় তাদের নোটিশ ও ডেকে ঘর গুলো সরিয়ে নিতে বলেছেন কিন্তু ব্যবসায়ীরা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ১ ডিসেম্বর সকালে বরগুনা ভুমি অধিগ্রহণ শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ভেকু মেশিন দিয়ে ১৪৭টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছেন।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন সিকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন চুন্নু, ছোটবগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইজারাদার মো. মজিবুর রহমান বিশ্বাস, ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমিন, সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান বয়াতি প্রমুখ।
খেয়া পারাপার হতে আসা রাকিব বলেন, ব্যবসার কাজে বরগুনা যাওয়া আমার অত্যন্ত জরুরী কিন্তু এখানে এসে দেখি খেয়া বন্ধ বিকল্প পথে যেতে চাইলে নৌকার মাঝিরা অতিরিক্ত টাকা দাবি করে।
মোহাম্মদ মিরাজ নামের আরেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সঙ্গে খেয়া পারাপারের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাহলে এই রুটের খেয়া কেন বন্ধ থাকবে।
ছোটবগী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেয়ায় ব্যবসায়ীদের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। যতদিন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের পুণর্বাসন দেয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আগে মাইকিং ও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সরকারের সাধ্যের মধ্যে রেখে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।